➖
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী রাবার ড্যাম এখন দর্শানার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ঈদের সকাল থেকে সোনাই নদীর সবুজ শ্যামল তীরে দর্শানার্থীরা দলবেঁধে আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে মানুষের ভিড় আরো বাড়তে দেখা যায়।
ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় আরো বেড়ে চলেছে। ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আগমন ঘটেছে রাবার ড্যামে।
রাবার ড্যামের কর্মকর্তারা বলছেন, চৌমুহনী রাবার ড্যামকে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে পারলে প্রতি বছর এখানে হাজারো দর্শানার্থীদের সমাগম ঘটবে।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে হাজার হাজার মানুষ সোনাই নদীর পাড়ে রাবার ড্যামে ভিড় করেন।সোনাই নদীর রাবার ড্যামটি অকোজো হয়ে পড়ায় এখন নদীতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছেনা।যতটুকু পানি আছে তাতেই দর্শনার্থী খুশি।
চৌমুহনী রাবার ড্যাম সভাপতি সায়েদুর রহমান জানান, চৌমুহনী ও বহরায় সোনাই নদীর ওপর প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালে রাবার দিয়ে বাধঁ তৈরি করা হয়।খরা মৌসুমে রাবার ফুলিয়ে নদীতে পানি জমাট করা হয়।শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী ২০/২৫ টি গ্রামের কমপক্ষে ৫ হাজার কৃষক বোরো ধানসহ বিভিন্ন রবি শস্য চাষাবাদ করে থাকে।এছাড়া রাবার বাধের কারনে নদীর পানি ফুলে পানিতে নদীতে ঢেউ খেলে।
এ সময় ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস ছুটির দিনে নদীতে নেমে মানুষ সাঁতার কাটে।সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা করা গেলে এ খাত থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব।কারণ মাধবপুরে স্থানীয়ভাবে বিনোদনের জন্য এটি একটি ভালো জায়গা।আমরা এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতা চাইব।
স্থানীয় চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রতি বছর ঈদ-নববর্ষ এবং জাতীয় দিবসে দর্শানার্থীদের পদচারণায় রাবার ড্যাম নদী মুখরিত হয়ে উঠে। আগত দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ নদীর স্বচ্ছ জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠে।মানুষের আগমন ঘিরে এখানে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠে।তাই সরকারি সহযোগীতায় রাবার ড্যাম সোনাই নদীর পাড়ে কিছু গাছ,ফুলের চারা ও আরো কিছু অবকাঠামোগত কাজ করা হলে মানুষের পরিবেশ বান্ধব বিনোদনের জায়গা হত।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহেদ বিন কাশেম জানান, চৌমুহনী রাবার ড্যামে অনেক দর্শানার্থীদের আগমন ঘটে।এটির পরিবেশসম্মত উন্নয়ন করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৫