➖
তানভীর আহমদ রাহী, স্টাফ রিপোর্টার
আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চের উদ্যোগে গাজা, ভারত ও আরাকানের নির্যাতিত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শনিবার ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা আর সহ্য করা যায় না। বিশ্ববাসী নীরব থাকলেও বাংলাদেশ থেকে মজলুমদের পক্ষে জোরালো প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি, ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন—বিশেষ করে লোকসভায় সদ্য পাস হওয়া মুসলিমবিরোধী ওয়াকফ বিলের—তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ইসরায়েলি কায়দায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা চলছে, যার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ভারতের ফ্যাসিবাদী শাসন। বাংলাদেশি মুসলমান হিসেবে, আমাদের ঈমানী দায়িত্ব—ভারত, গাজা ও আরাকানের মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো।
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন দরবার, খানকা ও মাজারে সাম্প্রতিক হামলারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, এসব ঘটনা শুধুই ধর্মীয় অবমাননা নয়, বরং দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপর নগ্ন আঘাত। এর পেছনে থাকা চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে ঘোষিত প্রধান দাবিসমূহ:
১. জাতিসংঘের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
২. ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. সকল ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে।
৪. ভারতের ওয়াকফ বিল বাতিল করতে হবে।
৫. দেশের খানকা-মাজারে হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৬. স্বৈরাচারী শাসনামলে সংঘটিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
অঙ্গীকার:
সমাবেশ থেকে বক্তারা ঘোষণা করেন, দেশে ও বিদেশে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তারা সর্বদা সোচ্চার থাকবেন এবং মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন।
দ.ক.সিআর.২৫