প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ১০:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ৯:১৬ এ.এম
মাধবপুরের পাহাড়ে বাচ্চাসহ ঘুরছে ভাল্লুক, বনে প্রবেশে সতর্কতা জোরদার
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে দেখা মিলেছে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি বন্য ভালুকের। সম্প্রতি স্থানীয় হারিস দেব বর্মা নামে এক ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ধরা পড়ে প্রাণীটি।এবার এর পার্শ্ববর্তী তেলমাছড়া ও সালটিলা পাহাড়ে বাচ্চাসহ ভালুকের ঘুরাফেরা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ।
সাতছড়ির পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ও জগদীশপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ তেলমাছড়ার রসুলপুর ও সালটিলা বনাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ৩টি বাচ্চাসহ ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। তেলমাছড়া বনটি প্রায় ১৭০০ একরের একটি বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম।স্থানীয় ওই বনের পাহাড়ীরা লাকড়ি বা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক ভালুকের চলাফেরা প্রত্যক্ষ করেছেন। ভালুকের সাথে বাচ্চা থাকলে এরা আক্রমাত্মক প্রবণ হয়ে ওঠে সেজন্যে স্থানীয় বন বিভাগ এই সব পাহাড়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে প্রবেশে সতর্কতা জারি এবং বনে টহল জোরদার করেছেন।
সম্প্রতি ওই পাহাড়ে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ভালুকটি ভয়ে একটি ইউক্লিপটর গাছে আশ্রয় নিলে সেই গাছে ভালুকের পায়ের আচরের চিহ্ন দৃষ্টিগোছর হয়।
হবিগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটি-র যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ইদানীং এই সব এলাকায় ভালুকসহ বন্যপ্রাণীদের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ভালুকের নিরাপত্তা ও বন জঙ্গলের পরিবেশকে সুনিশ্চিত করতে এবং মাননীয় বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানসহ বন বিভাগের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি।
তেলমাছড়া বনের বনরক্ষক সাদেকুর রহমান জানান,বাচ্চাসহ ভালুক তেলমাছড়া ও সালটিলায় বিচরণ করছে। আমরা খুব সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি।কখনো কখনো এসব সাতছড়িতেও ফেরত যাচ্ছে।
এ বিষয়ে তেলমাছড়ার বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, অনেক পাহাড়ির লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাচ্চাসহ ভালুকটিকে দেখেছে।সম্প্রতি আমরা টুরিস্টদের পাহাড়ের প্রবেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এবং বনে টহল জোরদার করেছি।
দ.ক.সিআর.২৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত