কালনেত্র প্রতিনিধি◾
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার ও মানহানির দায়ে জুনেদ ভুইয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউপির কালিশিরি গ্রামের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী মাহমুদুল হাসান শিবলী ভুইয়ার পিতা মাওলানা শেখ আঃ মজিদ ভুইয়া বাদী হয়ে গতকাল ১০ সেপ্টম্বর এ মামলা দায়ের করেন। চুনারুঘাট থানা মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে কর্তব্যরত এসআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের সহায়ক রিপন আমিন।
মামলার আসামীরা হলেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের কুদ্দুস ভুইয়ার পুত্র মোঃ জুনেদ ভুইয়া (২৮) ও তার ভাই জাবেদ ভুইয়া (৩২)
মামলার বিবরণীতে আসামী ফোন কলে প্রাণ নাশের হুমকি ও ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন, আসামী জুনেদ ভুইয়াকে ২০২৪ সালের প্রথমদিকে কোম্পানী ভিসায় কাতার নেন মাহমুদুল হাসান শিবলী ভূইয়া। জুনেদ ওখানকার আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে দেশে ফিরে আসার অভিযোগ জানালে জনাব শিবলী ভুইয়া জুনেদকে কাতার আসার ভিসা খরচ সহ যাবতীয় টাকা রিটার্ন করে দেন। তদুপরি জুনেদ শিবলি ভুইয়ার পারিবারিক সমস্যার সুযোগে খুব বিশ্রী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ভয়েস রেকর্ড, ফেসবুকে দূর্নাম করার পৈচাশিক আনন্দ নিতে উগ্র হয়ে উঠে। সম্পর্কে শিবলি ভুইয়ার দূর্সম্পরকের শালা হয় জুনেদ; শিবলি ভুইয়ার দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জুনেদ ও প্রথম পরিবারের লোকজন ফেসবুক আইডি হতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ পোস্ট প্রদান করে যাচ্ছে। পরে তার সাথে অন্য আসামীরাও অনুরূপ পোস্ট প্রদান করে। এর মাধ্যমে বাদী ও তার পরিবারের মানহানি করা হয়েছে বলে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনাব মাহমুদুল হাসান শিবলী ভুইয়া জানান, তার প্রথম স্ত্রী সংসারে থাকাকালিন সময়ে পরক্রীয়ায় জড়িয়ে বিভিন্ন ধাপে তার প্রায় ৬০ লাখের মত টাকা আত্মসাত করেন। পারিবারিক নিরাপত্তা, মানসম্মান ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছিল। এই নিয়ে সাংসারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করিলে প্রথম স্ত্রীর আত্মীয় জুনেদ ভুইয়া, জাবেদ ভুইয়া ও তার পরক্রিয়া প্রেমিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ও আমার পরিবারের বিরোদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও ৩/৪ টি ফেইক আইডি (কাতার রেমিটেন্স দালাল গ্রুফ, সত্যের সন্ধান, আলোর দিশারী) থেকে বানোয়াট, অশ্লীল ও মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা আমার ও আমার বাবার চারিত্রিক আদর্শের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
উল্লেখ্য যে, বিগত কিছুদিন আগে চলতি বছরের জুন মাসে জুনেদ ভুইয়াকে কম্পানি ভিসায় আমি কাতার নিয়ে আসলে সে এক মাসের মধ্যেই অতিরিক্ত গরমের অজুহাতে দেশে ফেরার বায়না ধরে! এমনকি দেশে ফেরার জন্য আমার বাসায় এসে আমার অনুপস্থিতিতে বাসার সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই সরঞ্জাম, টিভি, ফ্রিজ ভেঙ্গে ফেলে। যা কাতার টাকায় প্রায় সাড়ে ১৯০০০ হাজার দিরহাম ক্ষতি হয়। একপর্যায়ে জুনেদ ভুইয়াকে কাতার আসার ভিসার সমূহ টাকা ফেরত সমেত তাকে দেশে পাঠাতে বাধ্য হই।
দেশে গিয়ে আবার সে আমার সাবেক স্ত্রীর কারসাজিতে আমার বিরোদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বেপরোয়া হয়ে উঠে। অন্য দিকে আমার পরিবার ও আমার ১৪ বছরের শিশু মেয়েটাও স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই চক্রের লোকেদের হাতে উত্ত্যাক্তের শিকার হচ্ছিলো। বাধ্য হয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে বাসা ভাড়া নিয়ে ওদেরকে চুনারুঘাট শহরে স্থানান্তর করি।
এমতাবস্থায় জনাব শিবলী ভুইয়া আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন, এবং সুবিচারের প্রত্যাশা করেন।
ক_
সিআর—২৪