দ.ক
মীর জুবাইর আলম, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাঝাই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমির হোসেন চোখের সমস্যার তথ্য গোপন রেখে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ কনস্টেবল পদে দীর্ঘদিন যাবত চাকুরী করে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমির হোসেন লেখাপড়া অবস্থায়ই পরিবারের ভরন পোষণের জন্য নিজ এলাকায় বক শিকার করতেন। এক পর্যায়ে শিকারে গিয়ে বকের আঘাতে তার চোখের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পরে চোখ অপারেশন করালেও এক চোখ ছোট হয়ে যায়। বিগত ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কনস্টেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে মেডিকেল রিপোর্টে চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। তখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে অগ্রঅধিকারের ভিত্তিতে চাকুরী নিয়ে নেন। এবং চোখটি জন্মগতভাবে সমস্যা বলে পাড় পেয়ে যান আমীর হোসেন। তাছাড়া তখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে চাকরি দেওয়ার প্রাধান্যতা থাকায় এগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখেননি। যার ফলে চোখের সমস্যা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছেন কনস্টেবল আমির হোসেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি বলেন, একজন পুলিশ কনস্টেবলের এমন সমস্যা থাকলে চাকরি পাওয়ার কথা নয়। তবে কিভাবে সে এমন তথ্য গোপন রেখে চাকরিতে যোগদান করেছে বিষয়টি কথিয়ে দেখা হবে। এমন সমস্যা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে চাকরির থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এবং তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে পুলিশ কনস্টেবল আমির হোসেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। পুলিশ কনেস্টবল আমীর হোসেনর পিতা মোঃ হাসু মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র নিম্নে দেওয়া হল।
মোঃ হাসু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধ পরিচিতি নাম্বার 01360001466 পিতা ছলিম উদ্দিন, গ্রাম উসমানপুর, পোস্ট গাজীপুর, থানা চুনারুঘাট জেলা হবিগঞ্জ, বেসামরিক গেজেট (৭৯২)
দ.ক.সিআর—২৪