➖
আজিজুল হক নাসির◾
বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে এসেছে বানর। প্রায় ২ বছর ধরে কয়েক প্রজাতের বেশ কিছু বানরকে সচরাচর দেখা যাচ্ছে চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলেের বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে। ওরা মানুষের ক্ষেত খামারের চাষের ফল-ফসল খেয়ে নষ্ট করার পাশাপাশি বাড়ি-ঘরের ফল ও খাবারেও ভাগ বসাচ্ছে। লোকজন বিষয়টাকে প্রথম দিকে হালকাভাবে নিলেও সাম্প্রতিক রীতিমতো অতিষ্ঠ হতে শুরু করেছেন।
উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক সায়েম মাহমুদ মুমিন বলেন, গত ২ বছর ধরে তাঁর বাড়ির পাশের মালটা বাগান থেকে কোনো ফল পেড়ে আনতে পারছেন না। সবগুলোই বানরেরা খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। ওই গ্রামের শুকদেবপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া এতিমখানার ছাত্ররা বলেন, একটি বানর তাদের মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তাদের টিফিন নিয়ে টানাটানি করে। এতে তারা আতংকিত হয়।
আউয়াল চৌধুরী বলেন, বানর আশপাশের রান্নাঘরে প্রবেশ করে হাড়ির ভাত খেয়ে নষ্ট করে চলে যায়।
আমুরোড বাজারস্থ বিশগাঁও ভূমি অফিসের কর্মচারী কাওসার বলেন, একটি বানর ওই অফিস আঙ্গিনার সকল ফল খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে।
বনগাঁও গ্রামের শাহ আলম বলেন, ১০/১২ টি বানরের একটি দল তাঁর বরই বাগানের বরই খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে এবং তাঁর বেশ কয়েকটি পেঁপে গাছে কচি পাতা খেয়ে ফেলেছে। গাছ থেকে কোনো ফল আসছে না।
বানরগুলো কোথা থেকে এসেছে তা সঠিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে না। কারণ পাশের চা-বাগান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা এসব জায়গাগুলোতেই তাদের আবাসস্থল। তবে, এখন পর্যন্ত বানর কোনো মানুষকে আক্রমণ বা মানুষ বানরকে আঘাত করার সংবাদ পাওয়া যায় নি।
স্থানীয়দের ধারণা, বানরগুলো যেখানে বসবাস করতো সেখানে ভয়ভীতি কিংবা খাদ্যের অভাব পড়ায় তারা লোকালয়ে চলে এসেছে।
এবিষয়ে, এসিএফ চুনারুঘাট মারুফ আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, পাশেই বানর গুলোর আবাসস্থল থাকায় তারা লোকালয়ে চলে আসতে পারে। আবার ইচ্ছে করে চলে যেতেও পারে। যতটা পারা যায় তাদের কাছ থেকে ফল-ফসল রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। এদেরকে আঘাত না করে জীব হিসাবে ভালো ব্যবহার করতে হবে। বনবিভাগ এর সমাধান কল্পে কাজ করবে।
বিভাগীয় উপপরিচালক ডঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লোকালয়ে চলে আসা বানরগুলো বনে ফিরিয়ে নিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দ.ক.সিআর.২৪