1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

চুনারুঘাটে বউয়ের বড়বোনের সাথে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে বউকে নির্যাতন!

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাট প্রতিনিধি◾

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের কবিলাশপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার কন্যা নার্গিস আক্তার (৩৭) এর সাথে ইসলামী শরা শরিয়তের বিধান মতে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অত্র উপজেলার ১০নং মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাও গ্রামের হাজী আফছর উদ্দিন (কনা হাজী) এর পুত্র ফার্নিচার ব্যবসায়ি ফজলু মিয়া (৪০)।

দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসারে তাদের ১কন্যা ও ১পুত্র সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি নার্গিস আক্তার এর গর্ভে আরেক সন্তান পৃথিবীতে আসার প্রহর গুনছে। নার্গিস বর্তমানে ৬ মাসের গর্ভবতি।

এদিকে নার্গিসের দ্বিমাতার ঘরের বড় বোন প্রবাসী রেশমা আক্তার দেশে আসায় রেশমার সাথে সখ্যতা ঘরে উঠে ফজলু মিয়ার। রেশমা এবং ফজলু মিয়াকে চুনারুঘাট সদর হাসপাতালে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে চিকিৎসা নিতে জানার পর এ নিয়ে নার্গিস সামাজিক বিচারের দ্বারস্থ হয়। শালিশও বসেছে বেশ কয়েক বার। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ কাদির লস্কর, ১০নং মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক সরকার, ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, ছালেক মেম্বার ও নূর মেম্বারসহ আরও অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হলেও ফজলু মিয়াকে পরক্রীয়া মুক্ত রাখতে পারেনি কোনো বিচারই।

নানান দৌড়ঝাপ শেষে ক্ষান্ত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে চেষ্টা করেন নার্গিস আক্তার। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ফজলু মিয়া নার্গিসকে মারধর ও সঙ্গীয় লোকদের নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে এ নিয়ে মামলা করেন নার্গিস আক্তার। যাহার সি,আর মামলা নং ৮৩১/২৪ (চুনা)। মামলার ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৫৪/৩৮০/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ দঃ বিঃ।

এতে আরও হিংস্র হয়ে উঠে ফজলু! পিতৃহীন অসহায় নার্গিসের দূর্বল পরিবারে কোন পুরুষ সদস্য বা ভাইও নাই যে এসব অন্যায় অবিচারের বিরোদ্ধে রুখে দাড়াবে কেও। পরিশেষে নার্গিসের বিধবা মা ০৭/০১/২৫ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের সহযোগীতায় মেয়েকে ফজলুর অত্যাচার থেকে উদ্ধার করে নিজবাড়িতে নিয়ে আসেন। এখানে আশ্রয় নিয়েও রেহায় হয়নি নার্গিসের! গত ১৮ জানুয়ারি রাত ২:০০ ঘটিকায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে বসত ঘর এবং খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নার্গিস ও তার মায়ের সূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয় এবং নার্গিস ও তার দুই বাচ্চাসহ বিধবা মা প্রাণে রক্ষা পায়।

তাছাড়া যারাই নার্গিসকে উক্ত বিষয়ে সহযোগীতা করতে চেয়েছে তাদেরকেই ভয়ভীতি প্রদর্শন আর মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে ফজলু মিয়া। নার্গিসকে থানায় আনা নেয়া করেছে যে টমটম ড্রাইভার এখলাছ মিয়া ও টমটম ডাইভার সফিক মিয়া, তাদের বিরোদ্ধেও মিথ্যা ডাকাতি মামলা দিয়েছে সে।

এমনকি অর্থ কষ্টে জড়জরিত নার্গিসের বিক্রিত পৈতিক জমির ক্রেতা অত্র গ্রামের সিদ্দিক আলীর পুত্র ছাদেক মিয়া ও তার ছেলে আক্তার মিয়ার উপরও সে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এছাড়াও নার্গিসের দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী ১) মালেক মিয়া, পিতা মৃত আঃ নূর, সাং- কবলাশপুর। ২) রুবেল মিয়া, পিতা- মালেক মিয়া, সাং- কবলাশ পুর। ৩) আঙ্গুরা খাতুন, স্বামী মৃত সোনা মিয়া, সাং- কবলাশপুর এর উপরও ফজলুর দায়েকৃত মিথ্যা মামলা চলমান!

উল্লেখ্য যে, নার্গিসের দ্বিমাতার ঔরশ বোন রেশমা আক্তারের ইতিপূর্বে আরও ৫টি বিয়ে হয়েছে বলে জানা যায। এবং প্রথম বিয়ের পরবর্তি কোন বিয়েই সামাজিক রীতি নীতি মেনে হয়নি। এমনকি এসব বিয়ের কোনটাই ২/৫ মাসের বেশি ঠেকেনি।

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট