1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

চুনারুঘাট সাতছড়িতে বিলুপ্তপ্রায় কালো ভাল্লুকের সন্ধান নিশ্চিত, সতর্কতা ঘোষণা 

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
কালনেত্র প্রতিবেদক◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত  সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে দেখা মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বন্য কালো ভালুক।এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় পর্যটক,শ্রমিক ও জনসাধারণের অবাধ চলাফেরায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
বিগত বছর সোমবার (১১ই মার্চ ২০২৪) ফটোগ্রাফার হারিস দেব বর্মার ক্যামেরায় ধরা পড়ে প্রাণীটি।তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও ফটোগ্রাফার।তারপর দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন ছবিতে উপস্থিত নিশ্চিত হলে বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) বন কর্তৃপক্ষ সতর্কতা ঘোষণা দেন।
বন বিভাগের ধারণা, ভালুকটি এশিয়াটিক ব্ল্যাক জাতের বিলুপ্ত প্রজাতির ভালুক। এরা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক স্বভাবের হয়। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০-১২টি ভালুক রয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে।
 বিশ্বজিৎ সহ স্থানীয় বাসিন্দাগণ  জানান,বিষয়টি আতঙ্কের হলেও ভালুকের অবাধ চলাফেরা নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তথা বনের কিছু বাসিন্দারা যাতে ওই ভালুকগুলোকে নিধন না করে ফেলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভালুকের খাদ্য জোগানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বনের ভেতরে বন্যপ্রাণীর শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
তেলমাছড়া বিটের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ উদ্যানে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রাণীর ভিড়ে ভালুক থাকার বিষয়টি আমাদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আরও নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়েছে। কেউ যাতে শিকার বা পাচার করতে না পারে এ বিষয়ে কড়া সতর্ক রাখছি
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ আমাদের সময় প্রতিনিধি বলেন, ভালুক থাকার ঘটনাটি আমাদের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটি সংরক্ষণে আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। পর্যটকদের উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়েও সতর্ক করছি। তবে এখন পর্যন্ত ভালুক দ্বারা কেউ আক্রান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষকগণ জানান, উপমহাদেশে ভালুকের চারটি প্রজাতি ছিল। এরমধ্যে ৩টি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যেত। তবে একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার বর্তমানে ভালুকের যে দুটি প্রজাতির দেখা মেলে, সে দুটিই মহাবিপন্ন। এশিয়ান কালো ভালুক (Asian black bear) এর মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, এই ভালুকের বুকে ইংরেজি ‘ভি (V)’ বর্ণের মতো বুকে সাদা দাগ থাকে যা দেখতে অনেকটা অর্ধেক চাঁদের আকৃতির মতো লাগে। এ কারণে ভালুকটি চাঁদ ভালুক নামেও পরিচিত। ভালুকের এই প্রজাতিটি মাংসভুক গোত্রের হলেও কীটপতঙ্গ, ফলমূল ও মধু খায়। মা ও শাবক ছাড়া বাকি সব ভালুকই একা চলাফেরা করে, খাবারের খোঁজে দিনরাত সমানভাবে বনময় ঘুরে বেড়ায়। গাছে চড়ার ব্যাপারেও এরা ওস্তাদ। এই ভালুক সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না। তবে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে শিকারি বা শত্রুকে অনেক সময় ভয় দেখায়।
সাতছড়ি বনে এশীয় ভালুকের উপস্থিতিকে সুখবর শুনে প্রানী প্রেমিকগণ বলেন, এক সময় দেশের পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট-চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের গহীন অরণ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভালুকের বাস ছিল। কিন্তু বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্যের অভাব, বনে অনুপ্রবেশ ও শিকার এবং পাচারের কারণে প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে বসেছে। যদিও গহীন বনে কিছু ভালুক এখনও টিকে আছে। তবে সেটিও অস্তিত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
দ.ক.মায়া.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট