➖
চুনারুঘাট সংবাদদাতা
চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নং মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জনাব তাজুল ইসলাম মেম্বারের ডাকে বর্তমান সভাপতি আঃ রহিম শ্যামল এর গ্রুফিং লবিং ও অপবাদ, অপদস্তের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রভাষক কাওছার আহমেদ তালুকদার এর সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম মেম্বার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক তালুকদার।
বিএনপির প্রায় ২৫০ নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে উক্ত সভায় নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা গ্রামীণ সামাজিক পরিবেশে মানবিক রাজনীতি করি। কিন্তু মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শ্যামল কমিটিতে আসার পর থেকেই মফস্বল পর্যায়েও দলে গ্রুফিং লবিং সৃষ্টি হচ্ছে। ভিন্ন গ্রুফ লবিংদের নামে অপবাদ অপদস্ত করাতেও সে পটু।
গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নালমুখ বাজারের এক মিটিংয়ে এমনই এক কাজের বহির্প্রকাশ ঘটিয়েছে সে। শ্যামল সেদিনের মিটিং এ কৃষি কার্ড নিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রব সাহেবকে দোষী উল্লেখ করে প্রোপগান্ডা ছড়ায় যে, বিএনপির ২৫০ কৃষি কার্ড মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির লোকদের পাওয়ার কথা থাকলেও আঃ রব সাহেবের অভিযোগে কৃষি কর্মকর্তারা সেসব কার্ড ফিরিয়ে নিয়ে যান, অথচ আব্দুর বর সাথে জানান এ বিষয়ে তার কোন কর্মকর্তার সাথে দেখা স্বাক্ষাত হয়নি।
কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, কৃষি কার্ড কৃষকদের জন্য বরাদ্দ। আমরা কোন দলের কাওকে কোন কার্ডই দেইনি। কাওকে দেয়া না দেয়া নিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রব সাহেব এবং যুবনেতা ওয়াহিদুর রহমান সায়েম এর কোনো হাত নেই এবং এটা বিতরন করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে। সরকারি সার ও কিটনাশক বিতরন দলীয় কোনো কাজের মধ্যে পড়ে না।
দলের সভায় প্রায় কয়েক ডজন নেতার বক্তৃতায় ফুটে উঠে এটা ছিলো উদ্দেশ্যে প্রনোদিত সিদ্ধান্ত বা প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।
গতকালের সভায় উপস্থিত নেতারা আল্টিমেটাম দেন এই উদ্দেশ্য প্রনোদিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তারা ১০নং মিরাশি ইউনিয়ন বিএনপির মেয়াদউত্তির্ন কমিটি ও আব্দুর রহিম শ্যামল কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করবেন।
দ.ক.সিআর.২৫