➖
সুহৃদ শাহরিয়া
বাংলাদেশে চাঁতাল (ধান মাড়াই ও শুকানোর স্থান) ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক পুরনো। প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিভিত্তিক এই অঞ্চলে ধান উৎপাদনের পর প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য চাঁতাল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঁতাল ছিল একসময় অপরিহার্য, যেখানে কৃষকরা ধান মাড়াই, শুকানো এবং সংরক্ষণ করত। সেই সময় কাঠ, বাঁশ ও খড়ের তৈরি অস্থায়ী চাঁতাল বেশি দেখা যেত।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ধীরে ধীরে আধুনিক ইট-বালুর স্থায়ী চাঁতাল গড়ে ওঠে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী চাঁতালের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং কিছু কিছু জায়গায় যান্ত্রিক মাড়াই এবং শুকানোর ব্যবস্থাও চালু হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে আধুনিক রাইস মিলের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী চাঁতাল ব্যবস্থাও চালু রয়েছে। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে চাঁতালশিল্প কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে। অনেক চাঁতাল আজ অস্তিত্ব সংকটে, কারণ কৃষকরা সরাসরি মিল বা আড়তে ধান সরবরাহ করছে। তবু গ্রামীণ এলাকায় মৌসুমি ধান মাড়াইয়ের মৌলিক ব্যবস্থা হিসেবে এখনও কিছু চাঁতাল টিকে আছে। দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার সাথে এই ঐতিহ্যবাহী ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৫